ডিসেম্বর ১০, ২০২৩ ১০:৫১ অপরাহ্ণ
সৌমেন জানা: ইতিহাসের সান্নিধ্য পেতে ঘুরে আসুন মুর্শিদাবাদ।
প্রথম দিন: কাঠগোলার বাগান, জগৎ শেঠের বাড়ি, নশিপুর রাজবাড়ী, নশিপুর আখরা, আজিমন্নেসার সমাধি, চক মসজিদ, কাটরা মসজিদ, জাহানকোষা কামান, মতিঝিল (সন্ধ্যায় ভালো লাগে, এখন সুন্দর করে সাজানো হয়েছে), ফুটি মসজিদ, নিউ প্যালেস।
দ্বিতীয় দিন:
> এদিনের সব স্পট নদীর ওপারে। জগৎ বন্ধু ধাম(ডাহাপাড়া), কিরিটেশ্বরী মন্দির,ভট্টবটির শিব মন্দির (এগুলো সব নদীর এপারে);
> ইমামবাড়া, হাজারদুয়ারী(5 টাতে বন্ধ হয়)(হাজারদুয়ারী শুক্রবার বন্ধ থাকে), বাচ্চাওয়ালি তোপ(হাজারদুয়ারীর পাশেই),খোশবাগ, ঘড়ি ঘর(হাজারদুয়ারীর পাশেই), মদিনা মসজিদ (হাজারদুয়ারীর পাশেই), রানী ভবানীর টেরাকোটার মন্দির।
নিজেরা একটু উদ্যোগ নিলে অনেক কম খরচে ঘোরা যায়। প্রথমে ট্রেন থেকে নেমে একটি টুকটুক ভাড়া করে নিজের বুকিং করা হোটেলে চলে আসুন। তারপর ফ্রেশ হয়ে আর একটি অটো বা টুকটুক বুকিং করে নিন একটু দরদাম করে। সেই পুরো জায়গাগুলো ঘুরিয়ে দেখাবে।
> এছাড়া, হোটেল থেকেও ব্যাবস্থা করে দেয়। সুতরাং শীতের আমেজ নিতে চলে আসুন মুর্শিদাবাদে।
থাকার জন্য হোটেল:
হোটেল অন্বেষা (09434115470);
হোটেল (9732609084);
হোটেল মঞ্জুষা (03482270321: ভালো বাগান আছে);
হোটেল ইন্দ্রজিৎ (9836381994);
হোটেল সম্রাট (03482251147);
> উপরোক্ত হোটেলগুলোতে ফাইভস্টার সুবিধা পাবেন না।
Toto : রাজেশ (9333363475), হোটেল থেকেও বুকিং করা যায়;
Tanga : শিবা (9091208290);
Guide : কার্ত্তিক ঘোষ (973385560/9775856705), হাজারদুয়ারীর কাছে অনেক গাইড পাবেন;
নৌকা ভ্রমণ: সুমন বিশ্বাস (8343813028);
বিশেষ দ্রষ্টব্য: উপরোক্ত হোটেলগুলো, যোগাযোগগুলো কোনটিই আমার ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত নয়।
ওপরে বর্ণিত সমস্ত ভ্রমণস্থলগুলো আপনি সর্বত্রই শুনতে পাবেন, কিন্তু মুর্শিদাবাদে আরও অনেক জায়গা আছে যেগুলি খুব কম পরিচিত কিন্তু অনেক ইতিহাস জড়িত। যেমন, চাঁদ সওদাগরের বাড়ি (জজান), পঞ্চমুখী মহাদেব (বাগডাঙ্গা), পুরনো সম্ভ্রান্ত গ্রাম পাঁচথুপি (ইউটিউবে সার্চ করলে শর্টফিল্মও পাবেন), বহরমপুর সমাধিস্থল, খেরুর মসজিদ, নিমতিতা রাজবাড়ী, কাশিমবাজারের দুটি রাজবাড়ী ও ডাচ সমাধিসৌধ।